সংবাদ২৪.নেট ডেস্ক : ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের বাজেট বেশি স্বচ্ছ বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া (টিআইআই)। দেশটির ২০১৮ সালের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা করে এ মন্তব্য করল দুর্নীতি দমন পর্যবেক্ষণের আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের বাজেট পরিকল্পনা ও এর প্রয়োগপদ্ধতিও ভারতের চেয়ে বেশি স্বচ্ছ।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতের বাজেট অপেক্ষাকৃত ‘কম স্বচ্ছ’ এবং এটি জনগণের জন্য অত্যন্ত কম তথ্য সরবরাহ করে। সংস্থাটি আরও জানায়, অর্থিকখাতে স্বচ্ছতার অভাবে দেশটি গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে।
টিআইআই জানায়, ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত বাজেট বিষয়ক জরিপ ‘ওপেন বাজেট সার্ভে’তে ১০০ সূচকে ৪৮ পেয়েছে ভারতের বাজেট। দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ২০১৮-১৯ সালের বাজেট উত্থাপনের একদিন আগে দুর্নীতি দমন সংস্থাটি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করল।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি টিআইআই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানায়, সর্বোচ্চ গুরুত্ব সত্ত্বেও ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোর বাজেট দলিল-দস্তাবেজের দিক থেকে পিছিয়ে আছে। ফলে অর্থবিষয়ক দফতরগুলোর পারস্পরিক যোগাযোগ বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া বিশেষজ্ঞ ছাড়া ভারতের বাজেট সাধারণ নাগরিকদের জন্য বেশ অস্পষ্টও বটে।
দুর্নীতি দমন পর্যবেক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি আরও জানায়, বাজেট স্বচ্ছতার আন্তর্জাতিক স্থিতিমাপে এই বাজেট অনেক পিছিয়ে। এমনকী প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের চেয়েও স্বচ্ছতায় পিছিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ বড় অর্থনীতির দেশের বাজেট।
টিআইআই প্রতিবেদনে আরও জানায়, সুশাসনের পূর্ব শর্তই হলো স্বচ্ছতা। আর এই স্বচ্ছতা নিশ্চিতে বাজেটের তথ্য কেবল সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের কাছে থাকবে এমন হতে পারে না। এটা গণতান্ত্রিক নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য দুর্নীতি দমন পর্যবেক্ষণ সংস্থাটির।
এক জনমত জরিপের বরাতে টিআইআই জানায়, বাজেট ঘোষণার পর জনগণ কেবল কোন জিনিসের দাম বেড়েছে, কোনটার ওপর নতুন কর আরোপ হলো কিংবা কোন সরকারি সেবাটি বাড়ল-কমলো সেটাই জানতে পারে। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে কেন এই সিদ্ধান্ত- তা বাজেটে ব্যাখ্যা করা থাকে না। তথ্যের এই অপ্রতুলতার কারণে বাজেট বাস্তবায়নে জড়িতরা দুর্নীতি করার সুযোগ পায় এবং অপব্যয় বাড়ায়।
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায়ও বাতলে দেওয়া আছে টিআইআই’র প্রতিবেদনে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও তথ্য অধিকারের সুষ্ঠু প্রয়োগই কেবল পারে রাষ্ট্রের বাজেটকে জনগণের বাজেট করে তুলতে। এ প্রক্রিয়ায় পুরো বাজেটকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়। এছাড়া হিসাব নীরিক্ষণ বিভাগ ও দুর্নীতি কমাতে কার্যকর পদ্ধতি আরোপের ওপরও জোর দিয়েছে দুর্নীতি দমন পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি।
এ সংক্রান্ত আরো খবর
- » এদেশে জঙ্গীবাদের কোন ঠাঁই হবে না
- » যুবসমাজের চাকরির জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই : জয়
- » টংগিবাড়ীতে কথিত সাংবাদিকের হয়রানীতে অতিষ্ট এলাকাবাসী : থানায় অভিযোগ, মানবন্ধন
- » ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ
- » মন্ত্রীসভা থেকে মতিয়া চৌধুরীর বরখাস্তের দাবী বঙ্গবীরের
- » আগ্রায় ভেঙে পড়ল তাজমহলের স্তম্ভ
- » আচরণবিধি তোয়াক্কা করছে না মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর!
- » ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল ৮ বছরের শিশুকে
- » বৈশাখে ইলিশ নয়, যা দিয়ে পান্তা ভাত খাবেন প্রধানমন্ত্রী
- » ভুল সেটে পরীক্ষা নেয়ায় ৪ কলেজকে কারণ দর্শানো নোটিশ
- » গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন মহপরিকল্পনা জাহাঙ্গীরের
- » কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- » কোটা : বিজয় আসুক কালোর বিপরীতে
- » এমপি হতে শেষ চেষ্টায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা
- » যে কারণে ঢাবি থেকে বহিষ্কার এশা