রংপুর প্রতিনিধি, সংবাদ২৪.নেট : রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীত জেঁকে বসেছে। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতের কারণে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। শীত মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন এখনো তেমন প্রস্তুতি নেয়নি। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় খেটে খাওয়া ও দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বিশেষ করে চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বেশি। এ ছাড়া শীতজনিত রোগবালাইও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে।
শীতের কারণে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ সময় মতো কাজে যেতে না পেরে বেকায়দায় পড়ছেন। ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল করছে ধীর গতিতে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে দিনের বেলাতেও দূরপাল্লার যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে ।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, একটু দেরিতে হলেও চলতি সপ্তাহ থেকে এ অঞ্চলে শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে। এবার অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। তাপমাত্রা এখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। অনেক স্থানে দুপুর পর্যন্ত সূর্য্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। কোথাও বা দেখা গেলেও তা ছিল খুব অল্প সময়ের জন্য। দুই-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
রংপুর ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি জেলা থেকে যে পরিমাণ শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছিল, এর বিপরীতে বরাদ্দ এসেছে খুব সামান্য। প্রতিটি জেলায় গড়ে চাহিদা ছিল এক লাখ পিস শীতবস্ত্র। এর বিপরীতে সরকারিভাবে বরাদ্দ এসেছে ১৮ হাজার পিস। অন্যান্য মাধ্যমে ত্রাণ অফিসে এসেছে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার পিস। এ সব শীতবস্ত্র ইতিমধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। অনেক স্থানে তা বিতরণ করা হয়ে গেছে। তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র নেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে না পারলে দুস্থ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি জেলায় হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের সংখ্যা গড়ে দুই লাখের উপর। রংপুরের ৮ জেলায় কমপক্ষে ১৬ লাখের বেশি হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে। অথচ বরাদ্দ এসেছে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকের অনেক কম। এসব শীতার্ত মানুষের পাশে এখন পর্যন্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে এগিয়ে আসেনি।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শীতজনিত কারণে আগের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি রোগী শিশু ও বৃদ্ধ।বৃদ্ধরা হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে এবং শিশুরা নিমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
রংপুরের আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আলী জানান, বর্তমানে এই অঞ্চলে মৃদু শৈতপ্রবাহ বইছে এটা বলা যেতে পারে। দুই-একদিনের মধ্যে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও কমবে। পশ্চিমি বাতাসের ফলে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
রংপুর ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, নতুন করে শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। রংপুর জেলা সিভিল সার্জন আবু মোহাম্মদ জহিরুল হাসান জানান, প্রতিবছরই শীত মৌসুম এলে রোগ-বালাই কিছুটা বাড়ে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত আরো খবর
- » এদেশে জঙ্গীবাদের কোন ঠাঁই হবে না
- » যুবসমাজের চাকরির জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই : জয়
- » টংগিবাড়ীতে কথিত সাংবাদিকের হয়রানীতে অতিষ্ট এলাকাবাসী : থানায় অভিযোগ, মানবন্ধন
- » ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ
- » মন্ত্রীসভা থেকে মতিয়া চৌধুরীর বরখাস্তের দাবী বঙ্গবীরের
- » আগ্রায় ভেঙে পড়ল তাজমহলের স্তম্ভ
- » আচরণবিধি তোয়াক্কা করছে না মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর!
- » ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল ৮ বছরের শিশুকে
- » বৈশাখে ইলিশ নয়, যা দিয়ে পান্তা ভাত খাবেন প্রধানমন্ত্রী
- » ভুল সেটে পরীক্ষা নেয়ায় ৪ কলেজকে কারণ দর্শানো নোটিশ
- » গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন মহপরিকল্পনা জাহাঙ্গীরের
- » কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- » কোটা : বিজয় আসুক কালোর বিপরীতে
- » এমপি হতে শেষ চেষ্টায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা
- » যে কারণে ঢাবি থেকে বহিষ্কার এশা